বিষন্নতা আমাকে পেয়ে বসেছে। কি সব ছাই পাশ, বিদায়, ‘মরিবার হলো সাধ’ লিখছি আর নেটে তুলছি। পড়ে একজন পাঠক তার মন্তব্য কলামে লিখছেন।
-‘‘ মরিবার সাধ হয়েছে। মরতেন। তার আগে আমাদের একটু হাসান। হাসতে চাই।’’
কি অদ্ভুত কথা। আমি মরতে চাই। ও কি না হাসতে চায়। হাসতে চান হাসেন। বললাম;
-‘‘ মিরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জারস্, ‘কমিডি সার্কাস’ দেখেন, আর হাসেন।’’
জবাবে সে জনালো;
-‘‘ ও সব দেখার আর শুনার আমার সময় নাই। আপনি আমাকে হাসাবেন। আমি হাসবো।’’
মমত্মব্য শুনে অবাক হয়ে জানতে চাইলাম;
-‘‘ ঠিক আছে; আপনাকে হাঁসাতে আমাকে কি করতে হবে ?’’
জবাবে সে জানালো;
-‘‘ আপনি লেখক। লিখা লিখি করেন। জানেন না কি করে হাসাবেন।’’
জবাব দিলাম;
-‘‘ হ্যাঁ জানি না। আমি হাঁসতে ভুলে গেছি।’’
জবাব দিলো;
-‘‘ আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। জানি আপনি দেশ, বিদেশে ঘুরেছেন লেখাপড়া করেছেন। এই সব দেশের জোঁক শোনান। দোহাই আল্লাহ্র মোল্লা নাসির উদ্দিন হোজ্জা, গোপাল ভাড়ের জোঁক শুনাবেন না। শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে গেছে।’’
-‘‘ ঠিক আছে রে ভাই। কিন্তু আমি তো ইউরোপে থেকেছি। সেখানকার জোঁক গুলো মানাবে না।’’
জবাবে জানালো;
-‘‘ একটু মার্জিত করে শোনান। তারপরও সামান্য কিছু থেকে গেলে, কাবাব কা হাড্ডি, মন্দ লাগবে না। আমরা আপনাকে মাফ করে দিবো।’’ তবুও একটু হাসান।
আপনার মত আমি মরতে চাই না। বাঁচতে চাই। আপনার মত মস্কোর ঘন্টা, ক্রেমলিন, ফ্রান্সের বিখ্যাত গ্যালারী লালুভব, আইফেল টাওয়ার, প্যারিসের সেই রাস্তা ‘সানজে লিজে’, রোম, চীনের প্রাচীর তাজমহল সব কিছু দেখতে চাই। জবাবে বললাম;
-“ আপনার অনুরোধ রাখছি বটে। তবে দয়া করে কেহ আঘাৎ পেলে নিজ গুনে ক্ষমা করে নিবেন।” শুনুন;
মিখায়েল গর্ভাচেভ ‘প্রেসন্ত্রয়কা’ (পূণগঠন) এবং গ্নাসনমত্ম চালু করে সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে খানখান করে দিলেন। আমেরিকা পৃথিবী একছত্র অধিকারী। পরামর্শকগণ পরামর্শ দিলেন, পৃথিবী শাসন করার আমেরিকার জন্য জানা দরকার মানুষ গুলো কেমন ? যেই বলা সেই কাজ। ঠিক হলো মানুষের চরিত্র জানার জন্য মানব জন শূণ্য দ্বীপে ২জন করে পুরুষ তার সংগে একজন করে মহিলা পাঠানো হবে। কিছু দিন পর দেখা হবে তাঁরা কি করছেন? কেমন আছেন?
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২জন ব্রিটিশ এর সাথে একজন ব্রিটিশ মহিলা একটি দ্বীপে; অন্য দ্বীপে ২জন ফরাসী পুরুষ সংগে একজন ফরাসী নারী, ৩য় দ্বীপে ২জন রাশিয়ান পুরুষ একজন মহিলা; ৫ম দ্বীপে, ২জন ইটালিয়ান পুরুষ একজন নারী পাঠানো হলো। বেশ কিছু দিনপর তাঁদের অবস্থা জানার জন্য কিছুদিন পর একজন করে মনিটর পাঠানো হলে তারা কি দেখলেন;
ব্রিটিশ দ্বীপের মনিটর দেখলেন তিনজন মানুষ একটি জরাজীর্ন টেবিলে বসে আছেন। হাতে শতছিন্ন বছর খানেক আগের পত্রিকা। মনিটর বললেন;
-‘‘ এই যে শুনছেন?’’ টেবিলের একজন বিরক্তভাবে বললেন;
-‘‘ কি হয়েছে ? বিরক্ত করছেন কেন?’’ বিরক্ত হয়ে জবাব দিলো;
-“ আপনারা কথা বলছেন না কেন?” অবাক হয়ে জবাব দিলো;
-‘‘ কি অদ্ভুত ? কথা বললো কেমন করে ? কেউ কি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। মনিটর তাঁর খাতায় লিখেন ‘কনজারভেটিভ।’’
ফরাসী দ্বীপের অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। দ্বীপে গিয়েই দেখেন একজন মহিলার দুই হাতে ২জন পুরুষ মানুষ। মনিটরকে দেখে সবাই মহাখুশি। মহিলা বললো;
-‘‘ তুমি নতুন এসেছো ভালই হয়েছে। বিশাল দ্বীপ কোন সমস্যা নাই। তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই ডান দিকেরজন আমার স্বামী, বাম হাতেরজন আমার বন্ধু, আর তুমি যখন এসেছো তখন তুমি হবে দ্বিতীয় বন্ধু। আমার জন্য ভালোই হয়েছে। এখন আরও স্বামী বদল করার দু’টি সুযোগ সৃস্টি হলো।
মনিটর তাঁর খাতায় লিখলেন ‘লিবারেল, একমটেটিভ’।
রাশিয়ান দ্বীপে গিয়ে মনিটর অবাক হলেন। একটি টেবিলে দু’জন রাশিয়ান ভদকা (রাশিয়ান এলকোহল) টানেছেন। মহিলাটি অনুপস্থিত। মনিটরকে দেখেই স্বাগতম জানালেন। একটা গ্লাস দিয়ে টোস্টিও করলেন। মনিটর চেপে রাখতে পারলেন না। জিজ্ঞাসা করলেন;
-‘‘ মহিলা সদস্যটি কোথায় ?’’ জবাবে প্রথমজন বললেন;
-‘‘ আমরা এখানে আসার পর একটা সমিতি করেছি। আমি সমিতির সভাপতি আর আমার সামনের জন সাধারণ সম্পাদক। তুমি চিন্তা করো না। আমরা তোমাকে সহ-সভাপতি বানিয়ে দিবো।’’
মনিটর ধৈর্য রাখতে পারলেন না। আবারোও জানতে চাইলেন।
-‘‘ সব বুঝলাম। মহিলা রাশিয়ানটি কোথায়।’’ জবাবে সভাপতি বললেন;
-‘‘ ওহ্, তুমি ‘নারোদা’ (সাধারণ) সদস্যের কথা জানতে চাইছো। ও মাঠে কাজ করছে।”
মনিটর তাঁর রিপোটে লিখলেন।
-‘‘ ডিকটেটর, অথারেটারিয়ান।’’
ইটালিয়ান দ্বীপে গিয়ে মনিটর বিপদে পড়লেন। গিয়ে দেখেন মেয়েটির দুই দিকে দুইটি লাশ। মেয়েটি কালো কাপড় পড়ে কাঁদছে। মনিটর জিজ্ঞাসা করলো;
-‘‘ কি হয়েছে ? তুমি কাঁদছো কেন ?’’ জবাবে সে জানালো;
-‘‘ দেখছো না কি হয়েছে। দু’জন ইটালিয়ানের সংগে একজন মহিলা কেউ পাঠায়। তাঁরা আমার জন্য মারামারি করে মারা গেছে। তোমাকে পেয়েছি। এই নির্জন দ্বীপে আমি একা থাকতে পারবো না। তোমাকে আমি কিছুতেই ছাড়ছি না।
মনিটর তাঁর রিপোর্টে লিখলেন।
-‘‘ আরও একজন মনিটর পাঠানো দরকার।’’
রিপোর্ট গুলো নিয়ে আজকাল টেভিড অসবর্ণরা সেমিনার ওয়ার্কশপ করছেন। কোথায় কি ধরনের কার্যক্রম নেয়া যায়।
পাঠক হেসেছেন কি ? না হলে আবার চেষ্টা করছি।
রাশিয়ান কমুনিস্ট পার্টি প্রধান ব্রেজনেভ মারা যাওয়ার পর থেকেই গন্ডগোল। সরকার চালানো যাচ্ছে না। কি করা নতুন পার্টি প্রধান মিখাইল গর্ভাচেব বুঝতে পারছেন না। আমেরিকার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি সিআইএ এর সংগে আলাপ আলোচনা করে গর্ভাচেভকে পরামর্শ দিলেন;
একটা লম্বা চওড়া বক্তৃতা তৈরী করুন। দেখবেন প্রথম ঘন্টায় অনেকে ঘুমিয়ে গেছে। তাঁদের আলাদা করে এক ঘরে রাখুন। পরের ঘন্টায়ও অনেকে ঘুমিয়ে যাবে। তাঁদেরকেও আলাদা করে জেল খানায় রাখুন। গর্ভাচেভ জানতে চাইলেন;
-‘‘ কেন ?’’ জবাবে আমেরিকান বিশেষজ্ঞ বললেন;
-‘‘ কিছু লোক সব সময় সন্দেহ পোষণ করে। এরা তাঁরা। তাঁদের সব সময় চোখে চোখে রাখতে হবে।’’
বক্তৃতা চালিয়ে যান। দেখবেন কিছুলোক সব সময় স্বজাগ আছে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করবে। জানতে চাইবে। তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলুন। প্রথম ঘন্টায় ঘুমিয়ে যাওয়াদের দেশ চালাতে দিন সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে। গর্ভাচেভ আবারো অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন;
-‘‘ কেন ? কেন ?’’ জবাবে কনসালটেন্টগণ উত্তর দিলেন;
-‘‘ শত্রু সব সময় সজাগ থাকে ?’’
আমেরিকান পরামর্শকদের পরামর্শ পছন্দ হলো না। চাইনিজদের থেকে পরামর্শ চাইলেন। চাইনিজরা বললো;
-‘‘ আমাদের মত গ্নাসনন্ত আর পেরেস্ত্রয়কা করো। সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ তাঁদের কথা শোনা হলো না।
গর্ভাচেভ পেরেস্ত্রয়কা, গ্নাসনন্ত চালু করলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে গেল।
পাঠক আমার বিশ্বাস এ বারোও আপনারা হাঁসতে পারেন নি। আরও একটা আমেরকিান ও রাশিয়ান জোঁক শুনুন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় বেড়াতে এসেছেন। সাথে বড়বড় দু’টো সুটকেস। রাশিয়ার কমুনিস্ট পার্টির সেক্রেটারী জানতে চাইলেন;
-‘‘ এত কষ্ট করে ও দু’টোর মধ্যে কি এনেছেন ?’’ জবাবে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জানালেন;
-‘‘ এটোম বোমা। আপনারা আমার প্রস্তাবে রাজি না হলে ফাঁটিয়ে ক্রেমলিন ধংস করে দিবো।’’ কমুনিষ্ট পার্টির সেক্রেটারী জেনারেল জানালেন;
-‘‘ এ আর এসব কি কথা ? তোমরা এর আগেও জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকিতে এটম বোমা মেরেছো। জাপান কি ধংস হয়েছে? আমেরিকা রাশিয়ার সামিট ভালোই ভালোই শেষ হলো। পরের বার রাশিয়ান কমুনিষ্ট পার্টির সেক্রেটারী জেনারেল গেলেন আমেরিকা। হাতে সেই সুইটকেস।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জানতে চাইলেন;
-‘‘ এ গুলো কি এনেছেন ভাই? আমি তো নিয়ে গেছিলাম এটোম বোমা। আপনি কি হাইড্রোজেন বোমা এনেছেন?’’
জবাবে সেক্রেটারী জেনারেল জানালেন;
-‘‘ আমি কি আপনার মত বোকা। হাইড্রোজেন বোমা দিয়ে আমেরিকার কতটুকু ধংস করা যাবে।’’
-‘‘ তাহলে এতে কি এনেছেন ?’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানতে চাইলেন। জবাবে তিনি বললেন;
-‘‘ ব্যাগে দু’জন সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিবীদ আছে। আপনি আমার প্রস্তাবে রাজি না হলে এদের ছেড়ে দিয়ে যাবো। আপনার পুরো অর্থনীতি ধংস হয়ে যাবে।
পাঠক জোঁক গুলো বোধ হয় খুব উচ্চ মার্গের হাঁসতে পারছেন না। তা হলে আপনাদের কিছু হালকা জোঁক বলি;
আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ও রাশিয়ার সেক্রেটারী জেনারেল একটা উড়োজাহাজে করে রওনা দিয়েছেন। পথে একজন প্রেতাত্মা উড়োজাহাজ এর পাখা কাটতে শুরু করলো। আমেরিকান রাষ্ট্রপতি প্রেতাত্মাকে ভয় দেখাতে থাকলেন। কোন কাজ হচ্ছে না। শেষমেষ রাশিয়ার সেক্রেটারী জেনারেল প্রেতাত্মার কানে কানে কিছু কথা বললেন। প্রেতাত্মাটি চলে গেল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানতে চাইলো;
-‘‘ আমি এত ভয় দেখালাম। কোন কাজ হলো না। তুমি কি বললে ভাই যে, সে পালিয়ে গেল।’’ রাশিয়ার সেক্রেটারী জেনারেল হাঁসতে হাঁসতে জবাব দিলেন;
-‘‘ তেমন কিছু করিনি। শুধু বলেছি; এমন কাজ দেখালে উড়ালে ইউরিয়াম খনিতে কাজ করতে পাঠিয়ে দিবো। প্রেতাত্মা কেন, কেউ ওখানে যেতে চায় না তাই পালিয়েছে।’’
লেলিন অষ্টোবর বিপস্নবের আগে সব জায়গায় বলে বেড়াতেন যে, তিনি যদি কোন দিন ক্ষমতায় যান তাহলে তিনি এই শয়তান আমলাদের ধংস করবেন। শেষ মেষ লেলিন ক্ষমতায় গেলেন। কয়েক বছর থেকে দেশ চালাছেন। শয়তান আমলারা রয়ে গেছে। লেলিন আবারও গেলেন সেই গ্রামে যেখানে তিনি শয়তান আমলাদের ধংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বক্তৃতা শেষ।
একজন দর্শক জানতে চাইলেন;
-‘‘ লেলিন তুমি শয়তান আমলাদের ধংস করতে চেয়েছিলে। করেছো কি ?’’ জবাবে লেলিন বললেন;
-‘‘ চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি ? কারন এরা এমনি প্রয়োজনীয় শয়তান, তাঁদের বাদ দিয়ে লেলিনের মত ফেরেস্তারাও একপাও এগুতে পারে না। তাই শয়তান গুলো আছে, থাকবে। হয়তো এক দিন আমরাই থাকবো না।
আফ্রিকার একটি নির্মম জোঁক আমাকে কষ্ট দেয়। আপনাদের শোনাতে চাইনি। তারপরও হাঁসানোর দায়িত্ব নিয়েছি। তাই বলে চলেছি। কোনটায় হাঁসবেন জানি না। আফ্রিকার একটি দেশে একজন ভ্রমন পিপামু বেড়াতে গিয়ে অবাক হলেন। পাকাচুল ওয়ালা কোন লোক দেশটিতে নাই। ভদ্রলোকের ক্ষমতা, জানা শুনা অনেক। দেশটির রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা হলো। জানতে চাইলেন;
-‘‘ সব মানুষকে তরতাজা যুবক করে রাখলেন কেমন করে। এই গোপন রহস্যটা দয়া করে আমাকে বলবেন।’’
আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি পর্যটককে জানালেন;
-‘‘ আমি কিছুই করি নি। যা করার সব কিছু করছে এইচআইভি এইডস। চাইলে এটা নিয়ে যেতে পারেন। আপনার দেশটাও তরতাজা যুবকের দেশ হয়ে যাবে।’’
জবাবে পর্যটক বললেন;
-‘‘ দরকার নাই। এইডস ছাড়াই ভালো আছি।’’
অনেক বাস্তবতায় জোঁক হয়ে যায়। বাংলাদেশ বিমান যাত্রী আকর্ষন করার জন্য একটা বিজ্ঞাপন দেয়;
-‘‘ আমরা আমাদের গরম অভ্যর্থনা এবং মায়ের সেণহ দিয়ে অতিথিকে স্বাগত জানায়। একজন যাত্রী বিমানে উঠলেন। জুন মাস এসি চলছে না। যাত্রী ঘামছেন উসখুস করছেন।’’ ৫০ উর্দ্ধ একজন এয়ারবালা এসে অনুরোধ করলেন
-‘‘ একটু সয্য কর বাবা। বিমান এখনি ছেড়ে যাবে। যশোর যাবেন। মাত্র ৩৫ মিনিট লাগবে।’’
যাত্রী ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে যশোর বিমান বন্দরে নেমে গ্রাউন্ড ম্যানেজারকে অভিযোগ করলেন;
-‘‘ বিমান এসি নষ্ট। তারপর একজন মহিলা এসে বলে কি না মাত্র ৩৫ মিনিটের পথ।’’
গ্রাউন্ড ম্যানেজার অবাক হয়ে বললেন;
-‘‘ এতে অবাক হওয়ার কি আছে। আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছি; আমাদের অভ্যর্থনা গরম এবং সেণহ পাবেন মায়ের মত।’’
যাত্রী ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন যে তিনি ভুল করেছেন। আর সময় নষ্ট না করে গন্তব্যের পথে পা বাড়ালেন। কথার ফাঁকে ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে অনেক জোঁকের জন্ম হয়। অনেক গুলো উপভোগ্যও বটে।
অংকে সব চেয়ে ভালো, ছাত্রটাকে শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলো;
-“ তোমাকে ৫টা আম দিলাম। আমাদের ৮জনকে সমান ভাবে ভাগ করে দাও।” জবাবে ছাত্রটি বললো;
-“ ব্লেন্ডার, মাপার দাগসহ জগ লাগবে স্যার।”
স্যার রেগে গিয়ে বললেন;
-“ ভেবে ছিলাম। তুমি অংকে ভালো।” ছাত্রটি অবাক হয়ে জানতে চাইলো;
-“ ৫ টি আম সমান ভাগে আট জনের মাঝে ভাগ করে দিতে হলে কাটতে হবে। কেটে সমান ভাগ করা যায় না। সমান ভাবে অংক কষে ভাগ করতে হলে ব্লেন্ডার, মাপার যন্ত্র, পানি এসব লাগবে! স্যার।”
-“ তুমি ভালো রাজনীতিবীদ হতে পারো।” শিক্ষক জানালো। জবাবে ছাত্র বললো;
-“ পছন্দ না হলে বানরের পিঠা ভাগ করতে হবে।”
শুনে শিক্ষক অবাক হয়ে জানতে চাইলেন;
-“ ওটা আবার কি?” ছাত্রটি জানালো;
-“ খুব সহজ বিষয় স্যার। একটা বানরকে ১৫টি পিঠা দিয়ে একজন বললো। পিঠা গুলো তোমরা দু’জন সমান ভাগে ভাগ করে নাও। বানরকে কোন কাজ দিলে ও তো বাদরামি করবেই। সে তাই করলে। সে পিঠা ভাগ করছে। অন্যকে একটা দেয়ার নামে টেবিলে রাখলো। তার টা নিয়ে খেয়ে ফেললো। পরের বার অন্য জনকে আরও একটা দিয়ে বললো, তোমার দুটো বলেই আবারও দুটো নিজে গিলে ফেললো। একই ভাবে পরের বার অন্যকে একটা দিলে আর নিজের ৩টা, তারপর অন্য জনকে আরও একটা নিজে নিলো। এবারও চারটা নিয়ে গিললো। হাতের বাকি একটা অন্য কে দিয়ে বললো, আপনার পাঁচটা, বলেই তাঁর পাঁচটাই নিয়ে গফগফ করে গিলে ফেললো। সমান ভাগ হলো বটে কিন্তু সব পিঠা বানরের পেটেই গেল। অন্য জন কিছুই পেলনা।”
বানর থেকে সাবধান। হাই জাকার থেকেও সাবধান হবেন। একবার এক ছিনতাই কারী একজনকে চাকু ধরে বললেন;
-“ কোন কথা নয়, তোমার সব টাকা পয়সা এক্ষনি আমাকে দিয়ে দাও।” জবাবে পথচারী বললো;
-“ তোমার সাহস তো কম নয়। তুমি জানো, আমি কে?”
পথচারীর কথা শুনে ছিনতাইকারী রেগে গিয়ে জানতে চাইলো?
-“ তুমি কোন লাট সাহেব হে?” পথচারী জানালো;
-“ আমি বড় আমলা।” জবাবে ছিনতাইকারী জানালো,
-“ তা হলে আমাকে আমার সব টাকা ফেরৎ দিন, স্যার।”
বাংগালীকে হাঁসানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন একটি নতুন উদ্যোগ নিলো। বাংলাদেশ টেলিভিশনে হাঁসির নাটক প্রচার করবে। শুরু হলো হাঁসির নাটক নির্মাণ ও প্রচার।
দর্শক হাঁসতে পারে না। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিলো। দর্শকদের মতামত নেয়া হলো। সার্ভে ফরমে একটি প্রশ্ন রাখা হলো;
(1) দর্শক হাঁসানোর জন্য বিটিভির কি উদ্যোগ নেয়া উচিৎ মর্মে আপনি মনে করেন? বিস্তারিত বর্ননা করুন।
একজন দর্শকের মতামত তুলে ধরছি। আমার বিশ্বাস আপনি অবশ্যই হাঁসবেন;
-‘‘ হাঁসির নাটক চলার সময় বিটিভি মোট টিভি সেটের পরিমান লোক নিয়োগ করতে পারেন। তাঁরা বাড়িবাড়ি গিয়ে দর্শকদের কাতুকাতু দিয়ে হাঁসাবেন।’’ হেঁসেছেন কি ?
Md. Rafiqul Islam, PhD. | ||